কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্যাংকের লিমিটেড নিলামে বিক্রি করা সম্পত্তি হস্তান্তর

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড নিলামে বিক্রি করা সম্পত্তি নিলাম প্রাপককে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. জাকির হোসেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখার লিখিত অনুরোধে এ হস্তান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এই সময় ব্যাংকটির ভৈরব বাজার শাখার ব্যবস্থাপক সেলিম আহমেদ মিলন, পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. আল আমিন, পুলিশের উপপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম, নিলাম প্রাপক জন্টু সাহা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ভৈরব বাজারের মেসার্স আল আমিন চিড়াকলের মালিক সুনীল চন্দ্র সাহা টিনপট্টিস্থ এবি ব্যাংক বিল্ডিংয়ের পঞ্চম তলার দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী ৭৯৬ দশমিক ২৫ বর্গফুটের সঙ্গে অবিভক্ত এবং অমীমাংসিত শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ জমি বন্ধক রেখে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নেন।

ঋণ নেওয়ার পর থেকে এর কোনো কিস্তি পরিশোধ না করায় একপর্যায়ে সুনীল চন্দ্র ব্যাংকের খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হন। এ ক্ষেত্রে তাঁকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সকল প্রকার নোটিশ ও সতর্কতা দেওয়ার পরও তিনি সাড়া দেননি। একপর্যায়ে ব্যাংক তাঁর সুদসহ ঋণের টাকা পেতে অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩-এর ১২ (৩) ধারামতে দেশের প্রথম শ্রেণির দুটি পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর তিনি ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ করে পরিবার পরিজনসহ আত্মগোপনে যান।

ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আগ্রহী অনেক ব্যক্তি নিলাম প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কিন্তু ভৈরব বাজারের টিনপট্টি এলাকার জন্টু সাহা ফ্ল্যাটটির সর্বোচ্চ দরদাতা হন। ফলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তফসিল করা সম্পত্তি আমমোক্তারনামা বলে জন্টু সাহাকে গত ২১ নভেম্বর তারিখে ভৈরব সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল করে দেন।

খেলাপি ঋণগ্রহীতা সুনীল সাহা বন্ধক করা ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ করে আত্মগোপন করায় এটি বর্তমান ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিতে পারছিল না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় গত ২৭ নভেম্বর বিষয়টির সুরাহা চেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর একটি আবেদন করেন ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ভৈরব বাজার শাখার ব্যবস্থাপক সেলিম আহমেদ মিলন।

ব্যাংক ব্যবস্থাপকের ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখা থেকে নিলামে বিক্রয়কৃত সম্পত্তির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার সময় আইনগত সহায়তা প্রদানের জন্য ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মুখ্য হাকিম মো. জাকির হোসেনকে একটি অনুরোধপত্র দেন। ওই পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুর ২টার দিকে প্রয়োজনীয় পুলিশ সদস্যদের সহায়তা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নিলাম প্রাপক জন্টু সাহাকে ফ্ল্যাটটি বুঝিয়ে দেন।

এ সময় ফ্ল্যাটের ভেতর বিভিন্ন কক্ষে থাকা কিছু ফানির্চার জাতীয় অস্থাবর সম্পদের তালিকা তৈরি করে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ রেখে ওই ফ্ল্যাটের বর্তমান মালিক জন্টু সাহার কাছে বুঝিয়ে দেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর